সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::
চকরিয়া উপজেলার ১৭ নং খুটাখালীতে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নিয়ে দেশরতœ শেখ হাসিনার মনোনীত চেয়ারম্যাান প্রার্র্থী হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাহাদুর হক। গত ১৯ মার্চ কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক দিয়ে তাকে খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দিয়েছেন । তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ নেতা খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাটি ও মানুষের প্রিয়মুখ, দলের দুঃসময়ের কান্ডারী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সফল সিনিয়র সহ সভাপতি প্রচার-প্রচারণায় অনেকটা ব্যস্তমূখর হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলের মাঝে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তিনি আগামী ২৩ এপ্রিল ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে চমক দেখাতে গ্রামগঞ্জের সর্বপেশার লোকজনের সাথে উঠান বৈঠক, গণসংযোগসহ নানা কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তার ইউনিয়নের আওতাধীন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল বাহাদুর হক সমর্থকদের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনামুখর পরিবেশ লক্ষনীয়। সাথে তো আছেই দলীয় নেতাকর্মী, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা। সবমিলিয়ে হিসাব করলে ইউনিয়নে চমক দিতে পারেন এ হেভিওয়েট প্রার্থী। এ নিয়ে তিনি তৃণমূলের সমর্থন ও সর্ব পেশা-শ্রেণির লোকজনের দোয়া কামনা করেছেন। তাঁর নির্বাচনী খবরে ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষ আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে। এছাড়াও অপরাপর প্রার্থীদের চেয়ে মেধাবী, সাহসী, সৎ, যোগ্য, সবদিক বিবেচনা করে মোটমোটিভাবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বাহাদুর হক এখন ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন এমনটাই অভিমত প্রকাশ করেন তৃণমূল পর্যায়ের লোকজন।
জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে বাহাদুর হক খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। বিগত ২০০৯ সালে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের নির্বাচনী কর্মকান্ডে তিনি দায়িত্ব পালন করেন এবং জামায়াত বিএনপির আন্দোলন কঠোর হস্তে দমনে খুটাখালীর রাজপথে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তার শক্ত অবস্থানে ঝিমিয়ে পড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন নতুন করে ফিরে পেয়েছে প্রান। বাহাদুর হক চরম সংকট মুহুর্তে দলীয় বিভিন্ন সভা সেমিনারে এমনকি এলাকার উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। দলের দীর্ঘদিনের কান্ডারী বাহাদুর হককে নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় খুটাখালী জনপদের উন্নয়ন সম্ভব হবে এমনতর মন্তব্য করেছেন এলাকার সর্বশ্রেণীর পেশার লোকজন। যার কারণে বাহাদুর হকের নাম এখন লোকমুখে।
সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উৎযাপন কমিটির বাহাদুর হক ছিলেন সদস্য সচিব। তার কঠোর পরিশ্রমে জাতীয় দিবসটি ঝাকঝমকপুর্ণ ভাবে পালন করা হয়। এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানেও তিনি খুটাখালী থেকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। সর্বোপরি আওমীলিগের প্রতিটি সভা সমাবেশে তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের আঁকড়ে ধরে দখল করে নিয়েছেন আপমর জনতার হৃদয়ে স্থান। মাঠে ঘাটে তার পদচারনা ছিল লক্ষনীয়। খুটাখালীর একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে তাকে সাধারণ জনগন চেয়ারম্যান হিসাবে পেতে চাই।
বাহাদুর হক রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘবছর ধরে ব্যবসার সাথেও জড়িত থেকে বেশ সুনাম অর্জন করেন। হাটি হাটি পা পা করে খুটাখালীর বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের লোকজনের অকুন্ঠ ভালবাসা আর মা-বোনদের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ নেতা প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসাবে প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে চষে বেড়াচ্ছেন। তার ইউপি নির্বাচনের খবরে কিন্তু সর্বমহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। একদম তৃণমুল আর মাটির মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন এ সফল নেতা। অত্যন্ত সৎ, অমায়িক, রাজনীতিবিদ, পরিচিত মুখ ও যোগ্যতার সাথে বেড়ে উঠা এ নেতা ইউনিয়নের সর্ব শ্রেণির মানুষের ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের পরিচিতমুখ বাহাদুর হক খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড তথা দক্ষিণ মেদাকচ্ছপিয়া স্কুল পাড়া সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মরহুম আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান সওদাগরের দ্বিতীয় পুত্র। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪ ছেলে ২ মেয়ের জনক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লবণ-মৎস্য ব্যবসা করে আসছেন। এছাড়াও খুটাখালীর নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল ফরমুজ লেচুমা করিম বালিকা দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, কুতুবদিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ সভাপতি, দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুটাখালী তমিজিয়া ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সদস্য, দক্ষিণ মেদাকচ্ছপিয়া বটতলা জামে মসজিদের সেক্রেটারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণপদে দায়িত্বরত রয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি নানা সামাজিক সংগঠনে নেতৃত্বের মাধ্যমে সমাজকে বদলে দেওয়ার অঙ্গিকারে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন। এমনকি তিনি খুটাখালীর নানা গ্রামগঞ্জে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের সাথে কোলাকুলি, গণসংযোগ ও কৌশলাদি নিয়ে ব্যস্তমুখর বললেই চলে। সবমিলিয়ে নির্বাচনে এ নেতা অপরাপর প্রার্থীদের মধ্যে কিংবা খুটাখালীবাসীর মাঝে একজন ফ্যাক্টর প্রার্থী হিসাবে ফের আলোচনায় আসবেন এমনটাই আশাবাদী এলাকাবাসির।
পাঠকের মতামত: